মূল্যবান জীবনের পথ

এই পৃথিবী একটা অস্থির জায়গা। আমরা দেখি, মানুষ ইতস্তত ছুটাছুটি করে চলেছে তাদের জীবনকে খুশী করার জন্য ধন-সম্পদ আয় করতেও অনেকে নিজেদের একান্তভাবে ব্যস্ত রাখে। অন্য অনেকে জগতের সব রকম ভোগ-বিলাসে নিজেদের সময় কাটায়। আবার কেউ কেউ অলস অবসর কাটাতে পছন্দ করে এবং কম খাটুনি করে বেশী অর্থ উপার্জন করতে চেষ্টা করে ও খেলাধুলায় বেশী সময় ব্যয় করে। তবুও তাদের আত্মা তৃপ্ত হয় না।

খেলার সরঞ্জাম, আনন্দ-স্ফূর্তি ও সম্পত্তির প্রতি তাদের আকর্ষণ অবশেষে শেষ হয়ে যায়।কারন প্রতিটা নতুন ভোগ-বিলাস ও তার চাহিদা কিছুদিন থাকে, কিন্তু আবার হারিয়ে যেতেও সময় লাগে না। তবু মনে হয় জীবনে আরো কিছু দরকার।

আমরা সকলেই কম-বেশি হতাশায় ভুগি। শারীরিক দোষ ত্রুটির জন্য আমাদের কাজকর্ম সীমিত হয়। পরিবারের লোকদের দেখাশুনা করতে হয়।অনভিজ্ঞতার কারনে আমরা আমদের চাকুরী বা পেশায় আটকে পড়ি এবং অন্য অনেকে কাজ করতে পারি না। আমরা টাকা-পয়সা খরচ করি, ঋণ করি, আর ভাবি- পরবর্তী সময় জীবনযাত্রা আরো সহজ হবে। বিয়ে করে আমরা যা আশা করি তা অনেক সময়ই পাই না। প্রায় অযথাই আমরা পরিপূর্ণতা ও উদ্দেশ্য খুঁজি।

এই কি আমাদের জীবনের সব? আমাদের জীবনে কি অর্থবহ কিছু থাকা উচিত নয়, যা আমাদের সন্তষ্টি এবং কোন স্থায়ী কিছু দিতে পারে? নিশ্চয়ই, এর একটা সমাধান আছে!

জীবন কি?

জীবনটা হচ্ছে একটা মূল্যবান কিছু সময় যা সৃষ্টিকর্তা আমদের জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। বাইবেল বলে, জীবন একটা ছায়ার মত, (১ বংশাবলি ২৯: ১৫), ঘাস ও ফুলের মত অল্প স্থায়ী, (১ পিতর ১: ২৪) এবং বাস্পমাত্র, (যাকোব ৪: ১৪ পদ)।

সম্পূর্ণ পাঠঃ মূল্যবান জীবনের পথ

আমরা যখন তরুন, তখন আমরা মনে করি, আমরা অনেকদিন বাঁচব। আর যখন বুড়ো হই, মনে হয় সময় খুব তাড়াতাড়ি চলে যাচ্ছে। হতে পারে, আমরা আমাদের প্রথম জীবনের উদ্দেশ্য অর্জন করতে ব্যর্থ। এইভাবে আমরা আমাদের জীবন সম্পর্কে হতাশ হই।

সমস্যাটা কি?

কোন্ বিষয়গুলি আমাদের আত্মাকে অসন্তষ্ট করে? জীবনটা আমাদের জন্য একটা সুযোগ, কিন্তু দায়িত্বও বটে। যে সব ভাল কাজগুলি আমরা করতে জানি অথচ করি না, তখন আমরা অসুখী হয়ে পড়ি। কোন মানুষের বিরুদ্ধে কোন পাপ করলেও অস্বস্থি ও অন্যায় বোধ আমাদের বিরক্ত করে।আমাদের নিজেদের পাপ, আমদের মনের শান্তি নষ্ট করে। আমরা আমাদের কাজের জন্য নিজেদেরই দায়ী করে থাকি।

অনেক মানুষ হৃদয়ে অনুভব করে যে, পৃথিবীতে অল্প কিছুকাল বেঁচে থাকার চেয়েও জীবনটা অনেক বড়। তাদের বোঝা দরকার যে এই মহা বিশ্বে মহৎ উদ্দেশ্যে কাজ করার জন্য একটা বড় আত্মিক শক্তি আছে। অথচ তারা হয়তো জানে না, তিনি কে?

অনেকেই তাদের জীবনের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে, কারন তারা আসলে ঈশ্বরীয় দৃষ্টিকোণ দিয়ে তাদের জীবনকে দেখতে ব্যর্থ হয়। তারা ঈশ্বরের ইচ্ছা সম্পর্কে ও মানুষের জন্য তাঁর উদ্দেশ্য সম্পর্কে ইচ্ছা করেই বুঝতে চায় না।

অনেক লোকই বিশ্বাসীদের অনন্তকালীন সুখ দেখতে

ব্যর্থ, আবার অন্যদিকে দুষ্ট ও অধার্মিকদের শেষ বিচারের  কথা জেনেও না জানার ভান করে। বাইবেলে পড়ুন (রোমীয় ৬ : ২০-২৩)।

পরিপূর্ণ জীবন

যোহন ১৬: ২৪ পদে যীশু বলেছেন, "এখনও পর্যন্ত তোমরা আমার নামে কিছুই চাও নি। চাও, তোমরা পাবে যেন তোমাদের আনন্দ পূর্ণ হয়।" একজন খ্রীষ্টিয়ানের জীবন থেকে যীশুর দেওয়া আনন্দ সহজে মুছে ফেলা যায় না।

কোন কোন সময় প্রলোভনে পড়ে আমাদের হৃদয় ভারাক্রান্ত হয়। কিন্তু পবিত্র আত্মার দেওয়া ফল হল আনন্দ; তা আমাদের অন্তরে থাকে এবং সকল প্রলোভনের ভিতর দিয়েও হৃদয়ের আরো গভীরে প্রবেশ করে। এতে হয়তো সব সময় আনন্দ করা যায় না, কিন্তু প্রভুর উপর শান্তভাবে বিশ্বাস রেখে প্রলোভনের সময় আমাদের স্থির থাকতে এবং যে কোন ঝড়কে জয় করতে সাহায্য করে।

হয়তো কেউ আপনাকে বলবে, খ্রীষ্টিয়ান জীবন-যাপনের পথ এত সীমাবদ্ধ যা ইচ্ছা মত উপভোগ করা যায় না। তারা চিন্তা করে, সুখী হতে হলে অবশ্যই যা খুশী তা-ই করেই সুখী হওয়া যায়। কিন্তু শুধু পরীক্ষামূলকভাবেই প্রভুর কাছে আসুন!

তাঁর সেবা করে আপনি আনন্দ পাবেন, যিনি আপনার জন্য প্রাণ দিয়েছেন। এতে আপনি আরো পরিস্কার বুঝতে পারবেন, যে নিজের সেবা করে সে-ই আসলে দাসত্বের বাঁধনে জড়ানো ; আর খ্রীষ্টের সেবক একজন স্বাধীন ব্যক্তি।

 

আমাদের সংগে যোগাযোগ করুন

ট্র্যাক্টস- এর জন্য আবেদন

ঈশ্বরের উপহার – আপনার জন্য

Jesus in a manger

সময়কাল  শুরু হবার আগে থেকেই ঈশ্বর, তার একজাত পুত্র যীশু এবং পবিত্র আত্মার ছিলেন। তাঁরা পৃথিবী ও তার মধ্যে যা কিছু রয়েছে সব কিছুরই সৃষ্টি করেছেন। তার ভালবাসায়, ঈশ্বর তার নিজ প্রতিমূর্তিতে মানুষ সৃষ্টি করে তাকে এক অপূর্ব বাগান রেখেছিলেন। মানুষ ঈশ্বরের নির্দেশগুলির অবাধ্য হয়েছিল। এই অবাধ্যতাই ছিল পাপ এবং ঈশ্বর থেকে মানুষকে বিচ্ছিন্ন করেছিল। তিনি তাদের পাপ মোছনের জন্য নিখুঁত কম বয়সী পশু বলি দিতে বলেছিলেন। এই সমস্ত বলিদান তাদের পাপের দেনা শোধ করেনি কিন্তু এক চূড়ান্ত বলিদানের ইঙ্গিত দিয়েছিল যা ঈশ্বরীঈ জোগাবেন। একদিন ঈশ্বর তাঁর পুত্র যিশুকে সকল মানুষের পাপের মোচনের জন্য চূড়ান্ত বলিদান স্বরূপ এ জগতে পাঠাবেন। 

মরিয়ম এবং স্বর্গদূত

The angel speaks to Mary

চার হাজার বছর পরে, নাসরৎ নগরে মরিয়ম নামে এক কুমারী স্ত্রীলোক বাস করত। জোষেফের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার জন্য তাঁর বাগদান হয়েছিল। একদিন এক স্বরগদূত মরিয়মের সামনে আবির্ভূত হয়ে তাঁকে বলেছিলেন তিনি এক বিশেষ শিশুর জন্য দেবেন। তিনি তাঁর নাম রাখবেন জিশু। এই শিশুর কোন পার্থিব বাবা থাকবে না। তিনি হবেন ঈশ্বরের একজাত পুত্র।

যীশুর জন্ম 

সম্পূর্ণ পাঠঃ ঈশ্বরের উপহার – আপনার জন্য

The star shining over Bethlehem

স্বর্গদুত চলে যাবার পর, যোষেফ ও মরিয়মকে তাদের কর দেবার জন্য বেথলেহমের পথে দীর্ঘ যাত্রা করতে হয়েছিল। যখন তাঁরা বেথলেহমে পউচালেন, দেখলেন বিরাট জনতায় শহর পরিপূর্ণ। তাদের এক আস্তাবলে রাত কাটাতে হয়েছিল কারণ ওই সরাইখানায় কোন ঘর খালি ছিল না। সেখানেই যীশু জন্মেছিলেন। মরিয়ম কাপড়ের পাট দিয়ে শিশু যীশুকে মুড়ে এক যাব পাত্রে শুইয়ে দিয়েছিলেন। 

মেষপালকগণ 

Angels bring glad tidings to the shepherds

ওই রাতেই, শহরের বাইরে এক পাহাড়ে মেষপালকেরা তাদের মেষ পাহারা দিচ্ছিল। এমন সময়ে এক স্বর্গদূত আবির্ভূত হয় এবং ঈস্বরের প্রতাপ মেষপালকদের চারপাশে দেদীপ্যমান হয়ে উঠে। স্বর্গদূত বলেছিল, “ভয় পেয়ো না। আমি সকল মানুষের কাছে এক মহানন্দের সুখবর এনেছি। এই রাতে এক পরিত্রাতার জন্ম হয়েছে, তিনি প্রভু যীশু খ্রিষ্ট। তোমরা গিয়ে যাব পাত্রে কাপড়ের পাট দিয়ে জড়ানো শোয়ানো অবস্থায় এক শিশুকে দেখবে।“ তারপর অনেক দূতেরা আবির্ভূত হয়ে ইশ্বরের গৌরব ও প্রশংশা করতে করতে বলে উঠল “ঊর্ধ্বলোকে ইশ্বরের মাহিমা, প্রিথিবিতে তাহাঁর প্রিতিপাত্র মানুস্যদের মধ্য শান্তি।“ যখন স্বর্গদূতেরা চলে গেল, মেষপালকেরা তাদের মেষদের ছেড়ে শীঘ্রই বেথলেহমে গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে তারা শিশুটিকে দেখতে পেল যেমনটা স্বর্গদূতেরা বলেছিল।

পণ্ডিতগণ

The wise men bring their gifts

যীশু জন্মগ্রহণ করার পরে, অন্য দেশ থেকে পণ্ডিতেরা জেরুজালেমে গিয়েছিলেন। তারা জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “ইহুদিদের রাজা সেই শিশু কোথায়? আমরা প্রাচ্যদেশে তাঁর তারা দেখেছি এবং তাঁকে আরাধনা করতে চাই।“ যখন রাজা হেরোদের কানে এ কথা গেল, তিনি খুশি হননি। তিনি যাজকদের ও ব্যবস্থার অধ্যাপকদের ডাকলেন। তাঁরা তাঁকে জানালেন ভাববাদীরা বলেছেন বেথলেহমে এক শাসনকর্তা  জন্ম নেবেন। রাজা হেরোদ এই রাজার অনুসন্ধান করতে পান্দিতদের বেথলেহমে পাঠিয়ে দিলেন। পন্দিতেরা জেরুজালেম ত্যাগ করার সময় সেই তারাটি তাদের পরিচালনা করে সেই ঘরে নিয়ে গেল যেখানে তারা শীশু জিশুকে খুঁজে পেলেন। তাঁরা নতজানু হয়ে তাঁকে ভুক্তি শ্রদ্ধা জানিয়ে সোনা, কুন্দুরু, ও গন্ধরস উপহার দিলেন। ঈস্বর এক স্বপ্নের মাধ্যমে পণ্ডিতদের সতর্ক করেছিলেন যে তাদের ওই দুস্ত রাজা হেরোদের কাছে যাওয়া উচিত নয়, তাই তাঁরা অন্য দিয়ে নিজেদের দেশে ফিরে গিয়েছিলেন। 

ঈশ্বরের উপহার দেওয়ার কারণ

যীশু ঈশ্বরের একজাত পুত্র ছিলেন। তিনি নিস্পাপ জীবন জাপন করেছেন এবং তাঁর সকল পন্থায় তিনি ছিলেন নিখুত। ত্রিশ বছর বয়সে, যীশুর পিতা, ঈশ্বর সম্বন্ধে লোকদের শিক্ষা দিতে শুরু করেন। তিনি দৃষ্টিহীনকে পুনরায় দৃষ্টি  দান, নানা প্রকার রোগ থেকে লোকদের সুস্থতা দান এবং এমনকি মৃত ব্যক্তিকে পুনর্জীবন দান করার মত বত্থ অলৌকিক কাজ করেছেন। সর্বোপরি, তিনি স্বর্গে অনন্ত জীবন কাটানোর উপায় সম্বন্ধে শিক্ষা দিয়েছেন। তারপর তিনি সমগ্র জগতের পাপমোচনের জন্য এক বলিদান স্বরূপ নিজের জীবনকে বলি দিয়েছেন। 

বাইবেলের যোহন ৩:১৬ পদে বলা হয়েছে, “কারণ ঈশ্বর জগৎকে এমন প্রেম করিলেন যে, আপনার একজাত পুত্রকে দান করিলেন, যেন যে কেহ তাহাঁতে বিশ্বাস করে, সে বিনাষ্ট না হয়, কিন্তু অনন্ত জীবন পায়।“ যিশু এক সরবোচ্চ সর্বোচ্চ বলিদান স্বরূপ ক্রুশে মৃত্যুতে সমস্ত পাপের দেনা শোধ হয়েছে। পাপের মোচনের জন্য আর কোন বলিদানের প্রয়োজন নেই। এটাই ছিল পরিত্রাতাকে পাঠানো ঈশ্বরীয় প্রতিজ্ঞার পূর্ণতা। 

Jesus on the cross

দুষ্ট লোকদের দ্বারা যীশু নিহত হলেও তাঁর ওপরে মৃত্যুর কোন কর্তৃত্ব ছিল না। তিনদিন পরে তিনি কবর থেকে বিজয়ী হয়ে পুনরুত্থি হয়েছিলেন। পুনরুত্থানের পর বেশ অনেকদিন ধরে যিশু বহু লকের সামনে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তারপর একদিন, তাঁর অনুগামীদের আশীর্বাদ করে স্বর্গারোহন করেন।

আমরা যখন যীশুকে বিশ্বাস করতে এবং আমাদের জীবন তাঁর কাছে সমর্পণ করার সিদ্ধান্ত নিই, তখন তাঁর রক্ত আমাদের সমস্ত পাপ থেকে আমাদের শুচি করে। আমরা যখন পরিত্রানের এই উপহার গ্রহণ করি, তখন আমরা ঈশ্বরের সঙ্গে পুনর্মিলিত হই। যিশু হন্ আমাদের ব্যক্তিগত পরিত্রাতা এবং আমরা তাঁর সন্তান হওয়ার সকল আশীর্বাদ উপভোগ করি। একদিন যিশু আবার ফিরে আসছেন। তিনি সকল প্রকৃত বিশ্বাসীদের স্বর্গ নিয়ে যাবেন। সেখানে তাঁরা চিরকাল ঈশ্বরের সঙ্গে বাস করবে।

আমাদের সংগে যোগাযোগ করুন

ট্র্যাক্টস- এর জন্য আবেদন

আপনার সমস্যার সমাধান

আপনি কি নিঃসঙ্গতা অনুভব করেন, অথবা হৃদয়ের গভীরে এক ধরনের অপরাধবোধ এবং ভয় অনুভব করেন? আপনি কি কখনও আপনার জীবনের উদ্দেশ্যের বিষয়ে চিন্তা করেন? অনেকেই এ ধরনের অনুভূতির উত্তর খুঁজে পেতে চেষ্টা করে থাকে। কোন উৎসব অথবা বিনোদন কিছু সময়ের জন্য এই অনুভূতিগুলিকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারে। সম্ভবতঃ তারপরেই এইগুলি আগের চেয়ে আরো কঠিনভাবে আপনার জীবনে ফিরে আসে।

সৃষ্টির শুরুতেই ঈশ্বর মানুষকে নির্দোষ করে সৃষ্টি করেছিলেন। মানুষের কোন সমস্যা ছিল না। কিন্তু শয়তান এসে মানুষকে বিপথে চালিয়ে ঈশ্বরের অবাধ্য করল। মানুষ পাপের মধ্যে পড়ল। সে আর নির্দোষ থাকতে পারল না। সেই সময় থেকেই সব মানুষ পাপী।

মানুষ হিসাবে আপনিও কি মনে করেন, এই পাপের সাথে আপনি জড়িত? যখন আপনি শিশু ছিলেন, তখন নির্দোষ ছিলেন। ঈশ্বর আপনার পাপ মনে রাখেন নাই, কিন্তু যীশুর কারনে ক্ষমা করেছিলেন। আপনি যখন বড় হতে শুরু করলেন, তখন এসবের পরিবর্তন শুরু হল। আপনার জীবনে নানা বিরক্তিকর অনুভতি আসতে শুরু করল। কেন এরকম হচ্ছে? কারন, ঈশ্বর আপনাকে আপনার পাপের অপরাধবোধ বুঝতে দিচ্ছিলেন। এখন যীশুর রক্ত আপনার পাপকে ঢেকে দিতে পারছে না। ঈশ্বর বলেছেন, 'আপনি যা করছেন, তার জন্য আপনি নিজেই দায়ী।' যদি সেই সময় আপনি যীশুকে উদ্ধারকর্তা হিসাবে গ্রহন না করেন, তাহলে নিঃসঙ্গ ও অসম্পূর্ণ থেকে যাচ্ছেন।

এইসব বিরক্তিকর অনুভতি পরিবর্তন করার জন্য আপনি কি করতে পারেন? আপনি যত ভাল কাজই করেন না কেন, তা আপনার পাপের মূল্য হতে পারে না। ঈশ্বরের দৃষ্টিতে আপনি তখনও একজন পাপী। ঈশ্বর পাপ সহ্য করেন না। আর পাপই ঈশ্বরের কাছ থেকে আমাদের আলাদা করে রেখেছে। বাইবেলের যিশাইয় ৫৯: ২ পদ দেখুন।

এখন, এখানে আপনার জন্য এক সহজ-সরল ও সুন্দর পরিকল্পনার কথা বলছি, যা ঈশ্বর আপনাকে সাহায্য করার জন্য করেছেন। মানুষ নির্দোষ হতে পারে না, কারন মানুষ পাপি। কারন ঈশ্বরের দাবী, "তোমাদের ঈশ্বর সদপ্রভুর সামনে তোমাদের নির্দোষ থাকতে হবে।" (দ্বিতীয় বিবরণ ১৮: ১৩ পদ)। তখন ঈশ্বরের নিস্পাপ ও নির্দোষ পুত্র যীশু আসলেন, মানুষকে বললেন কিভাবে জীবন-যাপন করতে হবে। যীশু তাঁর নিজের উপর আমাদের পাপভার তুলে নিলেন, আমাদের জন্য ক্রুশে প্রান দিলেন এবং দাবী অনুসারে মূল্য পরিশোধ করলেন। যীশু একজন নির্দোষ মানুষ ছিলেন, সেই জন্য একমাত্র তিনিই পাপের মূল্য পরিশোধ করতে পেরেছিলেন। যীশুর মৃত্যু ও জীবিত হয়ে ওঠার মধ্য দিয়েই আমরা উদ্ধার পেতে পারি। ঈশ্বর আপনাকে সাহায্য করতে চান। তাই, যখনই আপনি নিজেকে পাপী বলে স্বীকার করবেন, তিনি তখনই আপনাকে ক্ষমা করবেন, কারন আপনার সব চেষ্টা ও সৎ ইচ্ছা পাপ থেকে আপনাকে শুচি করতে পারে না।

সম্পূর্ণ পাঠঃ আপনার সমস্যার সমাধান

একটা মাত্র উপায়ে আপনি আপনার পাপ থেকে শুচি হতে পারেন; তা হল-যদি আপনি যীশু খ্রীষ্টের রক্তে আপনার হৃদয় ধুয়ে পরিষ্কার করেন। এখন হয়তো আপনি ভাবছেন-কিভাবে আপনার জীবন পরিস্কার হতে পারে? আপনাকে স্বীকার করতে হবে যে আপনি একজন পাপী এবং আপনার জীবন নিজের শক্তিকে পরিবর্তন করতে পারেন না। আপনাকে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে যে, ঈশ্বরের জ্ঞান এবং বুঝবার ক্ষমতা, আপনার চেয়ে অনেক বেশী। ঈশ্বর জানেন, আপনার জীবনের জন্য কি সবচেয়ে ভাল। তাই সমস্ত হৃদয় নিয়ে ঈশ্বরের কাছে আসুন; আপনার পাপ পরিত্যাগ করুন এবং তাঁর পায়ে আপনার সমস্ত জীবন সমর্পণ করুন। যা সবচেয়ে ভাল, ঈশ্বর তাই-ই করবেন। আপনার জীবনে ঈশ্বরের উপর পরিপূর্ণ নির্ভরতা রাখাই হল-বিশ্বাস। আর যখন সত্যি করেই ঈশ্বরকে আপনি আপনার সবকিছু দেবেন, তখন তিনি আপনাকে ক্ষমা করে দেবেন। আপনার হৃদয়ে যে শান্তি পাবেন,তাই-ই প্রমান করবে যে ঈশ্বর আপনাকে ক্ষমা করেছেন।

ঈশ্বরের কাছ থেকে যে শান্তি আপনি পাবেন, সেই শান্তি আপনাকে মুক্ত করবে। ছোট বেলায় আপনি যেমন ছিলেন তেমন হবেন, বিরক্তিকর অনুভতি থেকে মুক্তি পাবেন, মুক্ত হবেন সেই মধুর দৃঢ় বিশ্বাসে যে এখন আপনি ঈশ্বরের সন্তান যাকে যীশু খ্রীষ্টের রক্তে নির্দোষ করা হয়েছে।

বাইবেলের এই অংশগুলি পড়তে অনুরোধ করছিঃ

মথি ১১: ২৮ পদআমার কেছে এস,

মথি ৬ :২৫-৩১ পদঈশ্বর আপনার দিকে লক্ষ্য রাখেন,

যোহন ৩ :১৬ পদঈশ্বর আপনাকে ভালবাসেন,

যোহন ১৪: ১৫ পদঈশ্বরের বাধ্য থাকুন

আমাদের সংগে যোগাযোগ করুন

ট্র্যাক্টস- এর জন্য আবেদন