যীশু তোমার বন্ধু

Jesus is your friend

আমার একজন বন্ধু আছেন। আমার সব বন্ধুদের মধ্যে তিনি হচ্ছেন সেরা বন্ধু। তিনি এত দয়ালু এবং বিশ্বাস্ত যে আমি চাই যেন তুমিও তাঁকে জানতে পার। আরও চমৎকার ব্যাপার হচ্ছে, তিনিও তোমার বন্ধু হতে চান।

এখন আমি তাঁর কথা তোমাকে বলছি। এই ঘটনাটি আমরা বাইবেলে দেখতে পাই। বাইবেল হচ্ছে খুবই খাঁটি। এটা ঈশ্বরের বাক্য।

ঈশ্বর হচ্ছেন এমন একজন, যিনি এই জগৎ এবং তাঁর মধ্যেকার সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। তিনি হচ্ছেন স্বর্গের ও পৃথিবীর প্রভু বাঁ মালিক। তিনিই সবকিছুর জীবন দেন এবং জীবন-বায়ু দেন।

সম্পূর্ণ পাঠঃ যীশু তোমার বন্ধু

God's creation

যীশু হচ্ছেন ঈশ্বরের পুত্র। ঈশ্বর তাঁকে স্বর্গ থেকে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন যেন তিনি আমাদের একমাত্র উদ্ধারকর্তা হন। ঈশ্বর জগৎকে এত ভালবাসলেন (মানে, তিনি আমাকে ও তোমাকে ভালবাসলেন) যে, তাঁর একমাত্র পুত্র, যীশুকে (আমাদের পাপের জন্য জীবন দিতে) পাঠালেন, যেন যে কেউ সেই পুত্রের উপরে বিশ্বাস করে সে বিনাষ্ট না হয় কিন্তু অনন্ত জীবন পায়। (যোহন ৩:১৬ পদ)

একটি ছোট্ট শিশু হয়ে যীশু এই পৃথিবীতে এসেছিলেন। তাঁর এই জগৎের বাবা-মা হচ্ছেন যোসেফ ও মরিয়ম। তিনি একটা গোয়ালঘরে জন্মগ্রহণ করেন এবং যাবপাত্রে তাঁকে শুইয়ে রাখা হয়।

Jesus' birth

যোসেফ ও মরিয়মের কাছেই যিশু বড় হয়ে উঠেছিলেন এবং তাদের বাধ্য ছিলেন। তাঁর আরও ভাই ও বোন ছিল যাদের সাথে তিনি খেলাধুলা করেছিলেন। তিনি যোসেফকে তাঁর কাঠের দোকানের কাজে সাহায্য করেছিলেন।

Jesus and the lad with food

যীশু যখন বড় হয়ে উঠে পূর্ণ বয়স্ক লোক হলেন, তখন তিনি তাঁর স্বর্গের পিতা ঈশ্বরের বিষয় লোকদের শিক্ষা দিলেন। ঈশ্বর যে তাদের ভালবাসেন, তা তিনি তাদের দেখিয়ে দিলেন। তিনি অসুস্থ লোকদের সুস্থ করলেন এবং কষ্ট পাওয়া লোকদের সান্ত্বনা দিলেন। তিনি আবার ছেলে-মেয়েদেরও বন্ধু ছিলেন। তিনি ছেলে-মেয়েদের তাঁর কাছে পেতে চাইতেন। ছেলে-মেয়েদের জন্য তিনি তাঁর সময় ব্যয় করতেন। ছেলে-মেয়েরাও তাঁকে ভালবাসত এবং তাঁর সাথে থাকতে পছন্দ করত।

কিন্তু কোন কোন লোক যীশুকে ভালবাসত না। তারা তাঁকে হিংসা করত, এমনকি ঘৃণাও করত। এই লোকেরা তাঁকে এতই ঘৃণা করত যে তারা তাঁকে মেরে ফেলতে চাইল। এক ভয়ংকর দিনে তারা তাঁকে পেরেকে বিদ্ধ করে ক্রুশে ঝুলিয়ে মেরে ফেলল। যীশু কিন্তু কিছুমাত্র অন্যায় করেনিন। আমাদের জায়গায় তবু তাঁকে মরতে হল, কারণ আমরাতো ভুল করেছি।

Jesus on the cross

যীশুর এই কাহিনী কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পরপরই শেষ হয়ে যায় নাই। ঈশ্বর তাঁকে মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত করে তুলেছেন! তাঁর অনুসরণকারীরা তাঁকে দেখেছিল। তারপর, একদিন তিনি স্বর্গ ফিরে গেলেন।

আজকেও তিনি তোমাকে দেখতে পান এবং তোমার কথাও শুনতে পান। তিনি তোমার সব কিছু  জানেন এবং তোমাকে পছন্দও করতে চান। শুধুমাত্র প্রার্থনার মাধ্যমে তাঁর কাছে এস তাঁর কাছে প্রার্থনা কর।

Jesus listening to a woman pray

তোমার সব দুঃখ-কষ্টের কথা তাঁকে বল। তিনি তোমাকে সাহায্য করতে প্রস্তুত আছেন। যে কোন সময়, যে কোন জায়গায়, তোমার মাথা নত করে তুমি তাঁর সাথে কথা বলতে পার।

কোন একদিন তিনি আবার আসছেন! তাঁর উপরে যারা বিশ্বাস করেছে তাদের সকলকে তিনি স্বর্গের বাসস্থানে নিয়ে যাবেন।

আমাদের সংগে যোগাযোগ করুন

ট্র্যাক্টস- এর জন্য আবেদন

ঈশ্বরের উপহার – আপনার জন্য

Jesus in a manger

সময়কাল  শুরু হবার আগে থেকেই ঈশ্বর, তার একজাত পুত্র যীশু এবং পবিত্র আত্মার ছিলেন। তাঁরা পৃথিবী ও তার মধ্যে যা কিছু রয়েছে সব কিছুরই সৃষ্টি করেছেন। তার ভালবাসায়, ঈশ্বর তার নিজ প্রতিমূর্তিতে মানুষ সৃষ্টি করে তাকে এক অপূর্ব বাগান রেখেছিলেন। মানুষ ঈশ্বরের নির্দেশগুলির অবাধ্য হয়েছিল। এই অবাধ্যতাই ছিল পাপ এবং ঈশ্বর থেকে মানুষকে বিচ্ছিন্ন করেছিল। তিনি তাদের পাপ মোছনের জন্য নিখুঁত কম বয়সী পশু বলি দিতে বলেছিলেন। এই সমস্ত বলিদান তাদের পাপের দেনা শোধ করেনি কিন্তু এক চূড়ান্ত বলিদানের ইঙ্গিত দিয়েছিল যা ঈশ্বরীঈ জোগাবেন। একদিন ঈশ্বর তাঁর পুত্র যিশুকে সকল মানুষের পাপের মোচনের জন্য চূড়ান্ত বলিদান স্বরূপ এ জগতে পাঠাবেন। 

মরিয়ম এবং স্বর্গদূত

The angel speaks to Mary

চার হাজার বছর পরে, নাসরৎ নগরে মরিয়ম নামে এক কুমারী স্ত্রীলোক বাস করত। জোষেফের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার জন্য তাঁর বাগদান হয়েছিল। একদিন এক স্বরগদূত মরিয়মের সামনে আবির্ভূত হয়ে তাঁকে বলেছিলেন তিনি এক বিশেষ শিশুর জন্য দেবেন। তিনি তাঁর নাম রাখবেন জিশু। এই শিশুর কোন পার্থিব বাবা থাকবে না। তিনি হবেন ঈশ্বরের একজাত পুত্র।

যীশুর জন্ম 

সম্পূর্ণ পাঠঃ ঈশ্বরের উপহার – আপনার জন্য

The star shining over Bethlehem

স্বর্গদুত চলে যাবার পর, যোষেফ ও মরিয়মকে তাদের কর দেবার জন্য বেথলেহমের পথে দীর্ঘ যাত্রা করতে হয়েছিল। যখন তাঁরা বেথলেহমে পউচালেন, দেখলেন বিরাট জনতায় শহর পরিপূর্ণ। তাদের এক আস্তাবলে রাত কাটাতে হয়েছিল কারণ ওই সরাইখানায় কোন ঘর খালি ছিল না। সেখানেই যীশু জন্মেছিলেন। মরিয়ম কাপড়ের পাট দিয়ে শিশু যীশুকে মুড়ে এক যাব পাত্রে শুইয়ে দিয়েছিলেন। 

মেষপালকগণ 

Angels bring glad tidings to the shepherds

ওই রাতেই, শহরের বাইরে এক পাহাড়ে মেষপালকেরা তাদের মেষ পাহারা দিচ্ছিল। এমন সময়ে এক স্বর্গদূত আবির্ভূত হয় এবং ঈস্বরের প্রতাপ মেষপালকদের চারপাশে দেদীপ্যমান হয়ে উঠে। স্বর্গদূত বলেছিল, “ভয় পেয়ো না। আমি সকল মানুষের কাছে এক মহানন্দের সুখবর এনেছি। এই রাতে এক পরিত্রাতার জন্ম হয়েছে, তিনি প্রভু যীশু খ্রিষ্ট। তোমরা গিয়ে যাব পাত্রে কাপড়ের পাট দিয়ে জড়ানো শোয়ানো অবস্থায় এক শিশুকে দেখবে।“ তারপর অনেক দূতেরা আবির্ভূত হয়ে ইশ্বরের গৌরব ও প্রশংশা করতে করতে বলে উঠল “ঊর্ধ্বলোকে ইশ্বরের মাহিমা, প্রিথিবিতে তাহাঁর প্রিতিপাত্র মানুস্যদের মধ্য শান্তি।“ যখন স্বর্গদূতেরা চলে গেল, মেষপালকেরা তাদের মেষদের ছেড়ে শীঘ্রই বেথলেহমে গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে তারা শিশুটিকে দেখতে পেল যেমনটা স্বর্গদূতেরা বলেছিল।

পণ্ডিতগণ

The wise men bring their gifts

যীশু জন্মগ্রহণ করার পরে, অন্য দেশ থেকে পণ্ডিতেরা জেরুজালেমে গিয়েছিলেন। তারা জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “ইহুদিদের রাজা সেই শিশু কোথায়? আমরা প্রাচ্যদেশে তাঁর তারা দেখেছি এবং তাঁকে আরাধনা করতে চাই।“ যখন রাজা হেরোদের কানে এ কথা গেল, তিনি খুশি হননি। তিনি যাজকদের ও ব্যবস্থার অধ্যাপকদের ডাকলেন। তাঁরা তাঁকে জানালেন ভাববাদীরা বলেছেন বেথলেহমে এক শাসনকর্তা  জন্ম নেবেন। রাজা হেরোদ এই রাজার অনুসন্ধান করতে পান্দিতদের বেথলেহমে পাঠিয়ে দিলেন। পন্দিতেরা জেরুজালেম ত্যাগ করার সময় সেই তারাটি তাদের পরিচালনা করে সেই ঘরে নিয়ে গেল যেখানে তারা শীশু জিশুকে খুঁজে পেলেন। তাঁরা নতজানু হয়ে তাঁকে ভুক্তি শ্রদ্ধা জানিয়ে সোনা, কুন্দুরু, ও গন্ধরস উপহার দিলেন। ঈস্বর এক স্বপ্নের মাধ্যমে পণ্ডিতদের সতর্ক করেছিলেন যে তাদের ওই দুস্ত রাজা হেরোদের কাছে যাওয়া উচিত নয়, তাই তাঁরা অন্য দিয়ে নিজেদের দেশে ফিরে গিয়েছিলেন। 

ঈশ্বরের উপহার দেওয়ার কারণ

যীশু ঈশ্বরের একজাত পুত্র ছিলেন। তিনি নিস্পাপ জীবন জাপন করেছেন এবং তাঁর সকল পন্থায় তিনি ছিলেন নিখুত। ত্রিশ বছর বয়সে, যীশুর পিতা, ঈশ্বর সম্বন্ধে লোকদের শিক্ষা দিতে শুরু করেন। তিনি দৃষ্টিহীনকে পুনরায় দৃষ্টি  দান, নানা প্রকার রোগ থেকে লোকদের সুস্থতা দান এবং এমনকি মৃত ব্যক্তিকে পুনর্জীবন দান করার মত বত্থ অলৌকিক কাজ করেছেন। সর্বোপরি, তিনি স্বর্গে অনন্ত জীবন কাটানোর উপায় সম্বন্ধে শিক্ষা দিয়েছেন। তারপর তিনি সমগ্র জগতের পাপমোচনের জন্য এক বলিদান স্বরূপ নিজের জীবনকে বলি দিয়েছেন। 

বাইবেলের যোহন ৩:১৬ পদে বলা হয়েছে, “কারণ ঈশ্বর জগৎকে এমন প্রেম করিলেন যে, আপনার একজাত পুত্রকে দান করিলেন, যেন যে কেহ তাহাঁতে বিশ্বাস করে, সে বিনাষ্ট না হয়, কিন্তু অনন্ত জীবন পায়।“ যিশু এক সরবোচ্চ সর্বোচ্চ বলিদান স্বরূপ ক্রুশে মৃত্যুতে সমস্ত পাপের দেনা শোধ হয়েছে। পাপের মোচনের জন্য আর কোন বলিদানের প্রয়োজন নেই। এটাই ছিল পরিত্রাতাকে পাঠানো ঈশ্বরীয় প্রতিজ্ঞার পূর্ণতা। 

Jesus on the cross

দুষ্ট লোকদের দ্বারা যীশু নিহত হলেও তাঁর ওপরে মৃত্যুর কোন কর্তৃত্ব ছিল না। তিনদিন পরে তিনি কবর থেকে বিজয়ী হয়ে পুনরুত্থি হয়েছিলেন। পুনরুত্থানের পর বেশ অনেকদিন ধরে যিশু বহু লকের সামনে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তারপর একদিন, তাঁর অনুগামীদের আশীর্বাদ করে স্বর্গারোহন করেন।

আমরা যখন যীশুকে বিশ্বাস করতে এবং আমাদের জীবন তাঁর কাছে সমর্পণ করার সিদ্ধান্ত নিই, তখন তাঁর রক্ত আমাদের সমস্ত পাপ থেকে আমাদের শুচি করে। আমরা যখন পরিত্রানের এই উপহার গ্রহণ করি, তখন আমরা ঈশ্বরের সঙ্গে পুনর্মিলিত হই। যিশু হন্ আমাদের ব্যক্তিগত পরিত্রাতা এবং আমরা তাঁর সন্তান হওয়ার সকল আশীর্বাদ উপভোগ করি। একদিন যিশু আবার ফিরে আসছেন। তিনি সকল প্রকৃত বিশ্বাসীদের স্বর্গ নিয়ে যাবেন। সেখানে তাঁরা চিরকাল ঈশ্বরের সঙ্গে বাস করবে।

আমাদের সংগে যোগাযোগ করুন

ট্র্যাক্টস- এর জন্য আবেদন

আপনার নতুন করে জন্ম হওয়া দরকার

যীশু আমাদের বলেন যে স্বর্গের দরজাগুলি আমাদের জন্য বন্ধ যদি না আমাদের নতুন করে জন্ম হয়। এই জন্য আমরা প্রশ্ন করিঃ বন্ধু, আপনার কি নতুন করে জন্ম হয়েছে? গির্জার সদস্য, আপনার কি নতুন করে জন্ম হয়েছে? যদি না হয়ে থাকে আপনি হারিয়ে পেছেন। কারণ যীশু বলেন, “...নতুন করে জন্ম না হলে কেউ ঈশ্বরের রাজ্য দেখতে পায় না।“ (যোহন ৩:৩খ পদ)

কিন্তু আপনি পশ্ন করতে পারেন, নতুন করে জন্ম হওয়া মানে কি? প্রথমে আমরা বলব, বাপ্তিষ্ম গ্রহণ করা নতুন জন্ম নয়, কারণ অনেকে বাপ্তিষ্ম নিয়েছে এবং এখনও নতুন করে জন্ম হয় নাই। বাইবেলে পড়ুন (প্রেরিত ৮:১৮-২৫ পদ)। নতুন করে জন্ম হওয়া মানে শুধু গির্জায় যোগ দেওয়া নয়, কারণ অনেকে হঠাৎ ভুল করে যায়। বাইবেলে পড়ুন, (গালাতীয় ২:৮ পদ)। নতুন করে জন্ম হওয়া মানে শুধু প্রভুর ভোজ খাওয়া নয়, কারণ অনেকে অযোগ্যভাবে খেয়েছে এবং তা তাদের জন্য দন্ঠ দত্ত দস্ত দণ্ড বয়ে এনেছে। বাইবেলে পড়ুন (১ করিন্থীয় ১১:২৯ পদ) নতুন জন্ম করে হওয়া মানে সংশোধিত বা আরো ভাল জীবন জাপনের চেষ্টা করা নয়। “......কারণ অনেকেই ঢুকতে চেষ্টা করবে কিন্তু পারবে না।“ (লূক ১৩:২৪ পদ) নতুন করে জন্ম হওয়া মানে শুধু প্রার্থনা করা নয়, কারণ যীশু বলেন, “এই লোকেরা মুখেই আমার সম্মান করে, কিন্তু তাদের অন্তর আমার কাছ থেকে দূরে থাকে।“ (মথি ১৫:৮ পদ)।

অনেকে হয়ত বলে থাকে, ‘যদি চেষ্টা করি আমি সবই করতে পারি; গরীবদের দান করা, অসুস্থদের দেখাশুনা করা এবং প্রতিদিন জতটা পারি ভাল হওয়া, তাহলে নিশ্চয়ই আমার নতুন করে জন্ম হয়েছে।‘ না, আমরা যা নই তা হতে পারি না। “কারণ পাপ স্বভাবের মন ঈশ্বরের আইন-কানুন মানতে চায় না, মানতে পারেও না।“ (রোমীয় ৮:৭খ পদ)। আমাদের অবশ্যই হৃদয়ের পরিবর্তন দরকার। কারণ ঈশ্বর নবীদের মাধ্যমে বলেছেনঃ “আমি তোমাদের ভেতরে নতূন অন্তর ও নতুন মন দেব;” (জিহিষ্কেল ৩৬:২৬ ক পদ)।

তাহলে, নতুন করে জন্ম হওয়ার মানে কি? কিভাবে এবং কখন আমরা তা গ্রহণ করতে পারি? যীশু বলেন, “মানুষ থেকে যা জন্ম তা মানুষ......” যোহন ৩:৬ পদ)। যখন একটি শিশু জন্মে একটি নতুন জীবনের জন্ম হয়। তাই একিভাবে যখন আমাদের নতুন করে জন্ম হয়, তখন আমাদের অন্তরে খ্রীষ্ট যীশুর জীবনের মত করে নতুন এক আত্না জন্ম নেয়। এইজন্য এটাকে জন্ম বলা হয় – খ্রীষ্ট যীশুতে এক নতুন জীন যা অনন্তকাল বেঁচে থাকবে।

সম্পূর্ণ পাঠঃ আপনার নতুন করে জন্ম হওয়া দরকার

যদি আমরা হারানো, ভারাক্রান্ত পাপী হিসাবে শান্তির জন্য আকাঙ্খা নিয়ে ও দুঃখিত হয়ে কেঁদে কেঁদে ঈশ্বরের কাছে এসে বলি, “পরিত্রাণ পেতে হলে আমাকে অবশ্যই কি করতে হবে?” তখন আমরা অবশ্যই, তাই করব যেমন পৌল বলেছিলেন, “প্রভু যীশুর উপরে বিশ্বাস করুন।“ আমাদের অবশ্যই সম্পূর্ণভাবে ঈশ্বরের কাছে আত্নসমর্পণ করতে হবে।

যে ঈশ্বর মনের ভিতরে আপনার সরলতা দেখেন। তিনি পবিত্র আত্নার শক্তির মাধ্যমে আপনার কাছে আসেন এবং আপনার ভিতরে একটি সত্য আত্না সৃষ্টি করেন। বাইবেলে পড়ুন, (গীতসংহিতা ৫১:১০ পদ)। এভাবে আপনার নতুন করে জন্ম হয় – ঈশ্বর বিশ্বাসের দ্বারা খ্রীষ্ট যীশুতে এক নতুন সৃষ্টি। বাইবেলে পড়ুন, (২ করিন্থীয় ৫:১৭ পদ)।

কিন্তু কখন আমি নতুন জন্মর আশা করতে পারি? ঈশ্বর পবিত্র আত্নার মাধ্যমে বলেন, “......আজ যদি তোমরা তাঁর কথায় কান দাও,” (ইব্রীয় ৩:৭খ পদ)। এর অর্থ যে কোন সময়ে অথবা যে কোন স্থানে যদি আমরা এই (পবিত্র আত্নার) ডাক শুনি ও সাড়া দেই, আমরা আত্নার দ্বারা নতুন জন্ম পেতে পারি, এভাবে ঈশ্বরের সন্তান হতে পারি।

কিন্তু এতে কত সময় লাগবে, আমাকে কি অবশ্যই নতুন জন্মর মধ্যে বৃদ্ধি পেতে হবে না? না, আমরা ঈশ্বরের রাজ্যে জন্মেছি; তা আমাদের তাঁর সন্তান ও উত্তরাধিকারী করে তোলে, এবং আমরা পূর্ণ আত্নসমর্পণ  ও যীশুর কাছে ক্ষমা চাওয়ার মুহূর্তেই এই স্থান অধিকার করতে পারি।

শেষে, কিভাবে আমি জানতে পারি যে, আমার নতুন করে জন্ম হয়েছে? পৌল, বাইবেলের রোমীয় ৮ অধ্যায় ১, ৬, ৯, ও ১০ পদে শিক্ষা দিয়েছেন, “যার অন্তরে খ্রীষ্টের আত্না নেই সে খ্রীষ্টের নয়।“ বাইবেল শিক্ষা দেয় – যারা হারানো তারা পাপে মৃত, দন্দিত, মন্দ – বিবেক সম্পন্ন, পাপ-স্বভাবমনা, আশাহীন, অবাধ্য, পৃথিবীতে ঈশ্বরবিহীন। অপরদিকে, একজন নতুন জন্ম পাওয়া খ্রীঊষ্টিয়ান একজন ঈশ্বরের সন্তান, খ্রীষ্টে জীবিত, পরিত্রাণ প্রাপ্ত, অদন্দিত, সু-বিবেকসম্পন্ন, আত্নিকমনা, পবিত্র আত্নায় পরিপূর্ণ এবং বিশ্বাসে পরিপূর্ণ, অনন্ত জীবনে আশাবাদী। তার পাপ যীশুর রক্তে মুছে গেছে। তার হৃদয় এমন ভালবাসা ও শান্তিতে  পরিপূর্ণ, যা ভাবা যায় না। সে প্রভুর ইচ্ছা পালন করতে ভালবাসে, আগ্রহ প্রকাশ করে ও ক্ষমতা রাখে। সে মৃত্যুর পরও আশাবাদী এবং স্বর্গবাসী হবার প্রত্যাশী। এমন পরিবর্তন (পার্থক্য) জেনেও কি কেউ তা কার্য্যে  পরিণত করবে না? সম্ভবত নয়! কারণ, “পবিত্র আত্না নিজে আমাদের অন্তরে এই সাক্ষ দিচ্ছেন যে, আমরা ঈশ্বরের সন্তান।“ (রোমীয় ৮:১৬ পদ)।

প্রিয় পাঠক, আত্নার জন্য বয়ে আনা শান্তি ও আনন্দের আভিজ্ঞতা যদি আপনার না হয়ে থাকে, নিশ্চিন্তে বিশ্রাম করবেন না, কারণ আপনি ঈশ্বর ও আপনার আত্নাকে তুচ্ছে মনে করছেন। আপনার নতুন করে জন্ম হওয়া দরকার। 

আমাদের সংগে যোগাযোগ করুন

ট্র্যাক্টস- এর জন্য আবেদন